শিরোনাম :

দাগনভুঞায় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসীকে হয়রানী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার ২নং রাজাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সমাসপুর আক্তর মিস্ত্রি বাড়ির মায়াধন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সমাসপুর গ্রামের আবদুল মান্নান ও মায়াধনের সাথে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার বৈঠক হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। গত (১৯ জুলাই ২০২৩) রাতে মায়াধনকে দা,কিরিছ,বটি,লৌহার রড়,ও কাঠের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপদেয় এবং গলায় চিপি ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে ও পরনের কাপড় ছোপড় খুলে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, স্যামসাং মোবাইল বিশ হাজার টাকা, দশ হাজার টাকা দামের চার্জার লাইট,নিয়ে যায় এবং দেড় লাখ টাকা চেয়ার,টেবিল, আলমারি, খাট কুপিয়ে ভাংচুর করে আসামীরা।ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবদুল মান্নান, ও তার মেজো ছেলে যমুনা টেলিভিশন এর বাহরাইন প্রতিনিধি: আবদুল হান্নান স্বপন, স্ত্রী জিনুতের নেছা, ছোট ভাই জসিম উদ্দিন সহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন তার মেজো ভাই আবুবক্কর (বাবুর) স্ত্রী মায়াধন। মামলা নং ২৯১, আদালত বাদীর মামলা আমলে নিয়ে দাগনভুঞা থানার ওসি কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী অফিসার এসআই ফরহাদ কালাম সুজন আদালতে প্রতিবেদনদাখিল করেন।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বাদী ছাড়া কেউ এঘটনা জানেনা। মামলার প্রথম স্বাক্ষী বাদীর ছোট ছেলে জিয়া উদ্দিন মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি, দ্বিতীয় স্বাক্ষী বাদীর মেজো ছেলের বউ পলি আক্তার, তৃতীয় স্বাক্ষী মৃত বিবি খোদেজা, চতুর্থ স্বাক্ষী বাদীর বড় ছেলের বউ বিবি কুলসুম, পলি আক্তার ও বিবি কুলসুম,বাড়িতে না থাকায়, ফোন দেয়া হলে পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন, আবুল হোসেন(আবু), আবু তাহের, কামরুল আক্তার, নয়ন আক্তার, ছবুরা খাতুন, মো. মোস্তফা, সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, মাওলানা, সাবেক গ্রাম পুলিশ মো. হজন জানান, এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা ঘটনা দিয়ে হয়রানী করছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকদের কে, অভিযুক্ত আবদুল হান্নান জানান, কোন মারামারি, ভাংচুর কিংবা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনাই। ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসাপত্রে শরীরে কোন আঘাতের কোন দাগ নেই উল্লেখ রয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় শুধু হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে না গিয়ে আদালতে রির্পোট দিয়েছে। আমি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে তদন্তকারী কর্মকর্তারবিরুদ্ধে আবেদন করবো, পুলিশ সরোজমিনে এসে সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

থানার তৎকালীন এসআই ও তদন্তকারী অফিসার ফরহাদ কালাম সুজন ঘটনাস্থলে দুই বার গেছেন বলে জানান। ঘটনাস্থলে গেছেন অথচ এলাকাবাসী ও বাড়ির লোক জন জানেনা এমন প্রশ্নের জবাবের কোন সদুত্তর মেলেনি।

(Visited 24 times, 1 visits today)